শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

পুলিশসহ মিয়ানমারের চারশর বেশি নাগরিক ভারতে আশ্রয়প্রার্থী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের ৪০০ জনেরও বেশি নাগরিক সীমান্ত পার হয়ে প্রতিবেশী ভারতে প্রবেশ করেছে, জানিয়েছেন ভারতীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা।

এদের মধ্যে বহু পুলিশ সদস্য রয়েছেন বলে সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ভারতের মিজোরাম রাজ্যের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা।

মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে শুরু হওয়ার গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের পর থেকে প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যাওয়ার এ ধারা শুরু হয়। পালিয়ে আসা পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের গুলি করতে জান্তা নির্দেশ দেওয়ার পর তারা সেটি পালন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, এ কারণে নির্যাতনের শিকার হতে পারেন আশঙ্কায় তারা পালিয়েছেন।

“শুক্রবারও প্রায় ১১৬ জন সীমান্ত পার হয়ে এসেছে,” বলেন মিজোরামের ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

এদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ও দমকল কর্মী রয়েছেন। এদের কেউ কেউ সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় শুধু ব্যাগে ভরে পোশাক নিয়ে আসতে পেরেছেন। 

এই আগমণ বন্ধ করার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কিন্তু ওই পার্বতময় সীমান্ত অরক্ষিত ও সেখানে টহল দেওয়া কঠিন কাজ। প্রত্যন্ত ওই সীমান্তের দুই পাশের বাসিন্দারা জাতিগত ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও পরস্পরের ঘনিষ্ঠ।

যারা পালিয়ে এসেছেন তাদের মধ্যে মিয়ানমারের চিন রাজ্যের দমকলের একজন কর্মকর্তারাও রয়েছেন যিনি নিজের নাম শুধু ‘খও’ বলে জানিয়েছেন। তিনি জান্তাবিরোধী আইন অমান্য আন্দোলনে (সিডিএম) জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন।

সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা জান্তাবিরোধী প্রতিবাদ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ১৮৩ জনকে হত্যা করেছে বলে মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানিয়েছে।    

নিহতদের পরিবারের সদস্যরা সোমবার দিবাগত রাতে কারফিউ উপেক্ষা করে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিশিযাপন করেছে। জান্তাবিরোধী প্রতিবাদকারীরা মঙ্গলবার নিহতদের শেষকৃত্য করার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888